শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
মোঃ খায়রুল আলম রফিক: ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজ মার্কেট বরাদ্দের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট, অনিয়ম-দূর্নীতি, ভুয়া ভাউচারে টাকা আত্মসাৎ, নামে বেনামে দোকান বরাদ্দ, সাবলেট বাণিজ্য, প্রভাব বিস্তার করা, সরকারি ভবনে জামাত বিএনপি শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য, কলেজে জামাতপন্থী শিক্ষকদের গোপন মিটিং, অফিস টাইমের পরেও রাত ৮-১০ টা পর্যন্ত কলেজে অবস্থান, ব্যক্তিগত মিটিং, কর্মচারিদের সাথে দূর্ব্যবহার, শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, মৌখিকভাবে ছুটি গ্রহণসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। কলেজের অভ্যন্তরীন সকল কমিটিতে থেকে অনিয়ম ও সরকারি আদেশ অমান্য করে কলেজে বেনসন সিগারেট ও পান সুপারির বদলে বিল হয় ডিম রুটির ভাউচারে।
এ বিষয়ে স্টাফদের অভিযোগ পাওয়ার পরও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। তাদের উপর নিপীড়ন চলছে। কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির মূলহোতা স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারি ও মার্কেট কমিটির আহবায়ক প্রভাষক আজিজুর রহমান এবং একাডেমিক কমিটির আহবায়ক প্রভাষক দিলীপ কুমার সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত দূর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি। কেউ প্রতিবাদ করলেও তার উপর নিপীড়ন করা হয়। তাদের আধিপত্য বিস্তার দীর্ঘদিনের। কলেজ মার্কেট এর দোকান বরাদ্দে দূর্নীতি-অনিয়ম, ভাড়াটিয়া পক্ষের সাথে চুক্তি না করে মৌখিকভাবে ভাড়া উত্তোলন, পছন্দের ব্যক্তিদের দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। কলেজ মার্কেট কমিটির আহবায়ক প্রভাষক আজিজুর রহমান তার পছন্দের কিছু বহিরাগত লোক দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন সরকারি নজরুল কলেজের গেইটের সামনে প্রায় ৩০০টি অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল প্রায় ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা উত্তোলন করছেন।
এ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করে নেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অবৈধ দোকানাপাটগুলো উচ্ছেদের ব্যাপারে মার্কেট কমিটির আহবায়ক প্রভাষক আজিজুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর কোন আবেদনপত্র জমা দেননি বা কোন ধরণের উদ্যোগ নেননি। অনুসন্ধানে জানা গেছে , প্রভাষক আজিজুর রহমান সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার করে নিজের পকেট ভারী করতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ আছে, প্রভাষক আজিজুর রহমান ও প্রভাষক দিলীপ কুমারসহ তাদের পছন্দের কয়েকজন শিক্ষকের স্বাক্ষর ছাড়া কোন বিল/ভাউচার পাশ হয়না। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কয়েকজন কর্মচারি প্রতিদিনের কাগজকে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে স্টাফ কাউন্সিল এর সেক্রেটারি প্রভাষক আজিজুর রহমান, প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ও একাডেমিক কমিটির আহবায়ক প্রভাষক দিলীপ কুমার সরকার, প্রভাষক (পদার্থবিজ্ঞান) বেনসন সিগারেট ও পান সুপারি খান কিন্তু বিল উত্তোলন করেন ডিম ও রুটির ভাউচারে আবার সেই ভাউচার তাদের গ্রুপের কয়েকজনের স্বাক্ষর ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষরেই পাশ হয়।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষকে অবগত করলে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। প্রভাষক আজিজুর রহমান প্রভাব বিস্তার করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি আইন অমান্য করে বার বার কলেজের অভ্যন্তরীণ প্রায় সকল কমিটিতেই থাকেন এবং সস্মানি ভাতাসহ কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে নামে বেনামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজে ৩ জন এমপিওভুক্ত অফিস সহকারী থাকলেও তাদের কেউ কম্পিউটার কম্পোজসহ অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন না। তাদের দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার কারণে বিগত অধ্যক্ষ মোঃ ফয়জুর রহমান এর সময় কম্পিউটরে পারদর্শী একজন কম্পিউটার অপারেটর মাস্টাররোলে নিয়োগ দেন। ২০১৪ সাল থেকে কম্পিউটার সংক্রান্ত সকল কাজ কলেজের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ হারুন অর রশিদকে দিয়ে করানো হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান পদের নাম কম্পিউটার অপারেটর নিজেরাই জানেনা কম্পিউটার । নেই তাদের কোন কম্পিউটারের দক্ষতা। তারা কিভাবে এই পদে বেতন তোলছেন এটাই আমার সন্দিহান। কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের কাগজকে অভিযোগ করে বলেন, কলেজে ৪ টি গবেষণাগার (কম্পিউটার, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান) থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর কোন ব্যবহারিক ক্লাশ নেওয়া হচ্ছেনা। কলেজে তাদের আস্থাভাজন কয়েকজন কর্মচারি ছাড়া অন্য কর্মচারিদের সাথে তারা হুমকির স্বরে কথা বলেন।
সম্প্রতি প্রভাষক আজিজুর রহমান অহেতুক বিষয় নিয়ে কলেজে কর্মচারিদের সাথে অসদাচরণ করেন এবং এক পর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলেন কলেজের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিগণ কলেজ লুটপাট করে খাচ্ছে। এ মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিদের পক্ষে কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ হারুন অর রশিদ প্রভাষক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে। অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) উক্ত অভিযোগের বিষয়ে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি। কলেজের পূর্বপাশ্বের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন সরকারি নজরুল কলেজের একটি দ্বিতল মার্কেট ও কাঁচা বাজার রয়েছে। সেখানে ভিট দোকানসহ প্রায় শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। কলেজ মার্কেট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন প্রভাষক আজিজুর রহমান। মার্কেটের দোকান বরাদ্দেও তিনি ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামে বেনামে দোকানপাট বরাদ্দ ও সাবলেট ভাড়া দিয়েছেন যার কোন টাকাই সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। সে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ায় মার্কেটের বকেয়া টাকা আদায় করছেন না।
কলেজ মার্কেট এর বর্তমান বকেয়া ভাড়ার পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কারও সাথে কোনরকম যোগাযোগ করেননি। কলেজ জাতীয়করণের পরিপত্র জারি হওয়ার পর কলেজ গেইটের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত অবৈধ দ্বিতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয় যা সম্পূর্ণ সরকারি নীতির পরিপন্থী । উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও ব্যাংকে থাকা অর্থ উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও , সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে কলেজ গেইটের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) জয়নব রেখা প্রতিবেদককে বলেন আমি সে সময় দায়িত্বে ছিলাম না। কলেজের অভ্যন্তরীণ ও পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, ভর্তি কমিটি ও ফরম পূরণ কমিটি গঠন ও ভাতা বন্টনের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালার অনুসরণ করা হয় না। স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারি প্রভাষক আজিজুর রহমানের পছন্দের শিক্ষক ও কর্মচারিকে টানা একাধিকবার কমিটিতে রেখে বিভিন্নভাবে সরকারি অর্থের সুবিধা নিচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত নতুন ভবনে সরকারি বিদ্যুৎ ও পানি খরচ করে শুক্রবার ও শনিবারসহ পুরো সপ্তাহজুড়ে কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ও বহিরাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং বাণিজ্য করে আসছেন এমন একটি ভিডিও প্রতিদিনের কাগজের হাতে আসে। স্টাফ কাউন্সিল এর সেক্রেটারি প্রভাষক আজিজুর রহমান ও একাডেমিক কাউন্সিল এর আহবায়ক প্রভাষক দিলীপ কুমার সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে রসায়নের প্রভাষক মোঃ রকিবুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকান্ড করে আসছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষের কক্ষ সংলগ্ন টয়লেট,একটি কক্ষ ও ওযুখানা নির্মাণ করেছেন এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিট কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারি প্রভাষক আজিজুর রহমান ও একাডেমিক কমিটির আহবায়ক প্রভাষক দিলীপ কুমার সরকার তাদের সিন্ডিকেটকে অডিট কমিটিতে রাখেন এবং অডিট কার্য সম্পন্ন করেন। কলেজের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী শফিকুল ইসলাম (দুলাল) বিগত কয়েক বছর আগে বাসা থেকে কলেজে আসার পথে সরকারি কোষাগারের ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা হারানো হয়েছে মর্মে তৎকালীন অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানান। এ বিষয়ে আজও কোন তদন্ত কমিটি হয়নি। উক্ত টাকা অদ্যাবধি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার চেষ্টাও করেনটি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি মোঃ আতাহার আলী ও মোঃ আবু সায়েম জানান কলেজের স্টাফ কাউন্সিল এর সেক্রেটারি প্রভাষক আজিজুর রহমান স্যার ও একাডেমিক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক দিলীপ কুমার সরকার স্যার আমাদেরকে দিয়ে বেনসন সিগারেট ও পান-সুপারি আনান এবং বিল করতে বলেন ডিম রুটির ভাউচারে। প্রভাষক আজিজুর রহমান জানান আমাকে দেড় বছর আগে মার্কেটের আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এরপর থেকেই মার্কেট থেকে ভাড়ার টাকা উত্তোলন করে কেরানির মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেই। আগে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতো লোকাল অধিদপ্তর। এখন মন্ত্রণালয় করেন আমার জানা নেই । তবে আমি জেনে নিবো। আগের ইউএনও আক্তারুজ্জামান স্যার অনেকবার অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান করেছেন কোন ফলাফল পায়নি। কলেজের গেইটের সামনে প্রায় ৩০০ দোকান বসিয়ে টাকা আদায়ের বিষয়ে বলেন, দেখেন আমি কোন টাকা নেয়নি। যারা বলছে মিথ্যা বলেছে। সহকারী অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত দূর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গত ০৭/০৬/২০২৩ তারিখে তৎকালীন অত্র কলেজ বেসরকারি থাকা অবস্থায় তখনকার কলেজ পরিচালনা পরিষদ জয়নব রেখাকে একটি বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক করেন। কিন্তু তার সীমাহীন দূর্নীতির কারণে ঐ সময় আনুমানিক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার নির্মাণ ভাউচার অবৈধ থাকায় তখনকার কলেজ পরিচালনা পরিষদ ও অধ্যক্ষ অবৈধ ভাউচার পাশ করেন নাই এবং বেসরকারি থাকা অবস্থায় তখনকার পরিচালনা পরিষদের রেজুলেশনে উল্লেখ আছে নির্মাণ ভাউচার শুধুমাত্র অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদই পাশ করার ক্ষমতা রাখেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কিভাবে অবৈধ ভাউচারগুলো পাশ করে টাকা উত্তোলন করলেন। ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক বলেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সময়ে অসময়ে আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।
যদি কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন তার বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণে অভিযুক্ত করে শোকজ লেটার ধরিয়ে দেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মোঃ মজিবুর রহমানকে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের কারণে অভিযুক্ত করে শোকজ লেটার দিয়েছেন। তার এহেন আচরণের ভয়ে কেউ অভিযোগ করার সাহস পায়না। অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), জয়নব রেখা প্রতিবেদককে জানান, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে কিন্তু প্রাইভেট পড়াতে পারবে। তিনি আরও বলেন কলেজের মার্কেটটি একটি বিষফোড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। মার্কেট কমিটির আহবায়ক প্রভাষক আজিজুর রহমান তিনি দায়িত্বে আছেন। আমি খুব শিঘ্রই চিঠির মাধ্যমে ভাড়া উত্তোলনের কাজ শুরু করবো।
কলেজের সামনে প্রায় ৩০০ দোকান থেকে প্রতিদিন টাকা উত্তোলন করা হয় জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, আমি কয়েকবার স্থানীয় পুলিশকে বলেছি উচ্ছেদ করতে তারা করেনি। আমি একা কি করতে পারবো আপনারাই বলেন। তবে সবাই আমাকে সহায়তা করলে আমি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে পারবো ইনশাল্লাহ্। তিনি আরও বলেন আমাদের কলেজের কেউ অনিয়ম-দূর্নীতিতে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, প্রফেসর মোঃ শাহেদুল কবীর চৌধুরীর কাছে কলেজের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নজরুল কলেজ, ত্রিশাল এর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নূর মোহাম্মদ আল ফিরোজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নজরুল কলেজ ত্রিশালের অভিযোগ অত্র দপ্তরে এসেছে শুনেছি, আমার হাতে এখনও আসেনি।